স্বদেশ ডেস্ক:
বগুড়ার শিবগঞ্জে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এবার আমনের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। রোপা আমন চাষে অনুকূল আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত আর কৃষি অফিসের পরামর্শ পাওয়ায় কৃষকরা এবারে আমন ফসলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তবে সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজির কারণে এবারো তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভা জুড়ে বিশ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন ধান। কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ফসল ভালো হওয়ায় খুবই খুশি কৃষকরা।
তবে শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় চাপ বুলবুলের প্রভাবে নীচু এলাকার ধানক্ষেত পড়ে গিয়ে ফলন বিপর্যয়ের আশংকাও আছে। তবে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে। চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করি আর ন্যায্য দাম পাই না। এ কারণে লোকসানের হিসাব গুনতে গুনতে আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
তারা আরো বলেন, কৃষকের ইরি-বোরোর গোলার ধান যখন শেষ, সেই মুহূর্তে সরকার ধান কেনা শুরু করে। ফলে সিন্ডিকেট কম মূল্যের ধান দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে তারা বিপুল মুনাফা পকেটে ভরে। টাকাওয়ালারা আরো অধিক টাকার মালিক হন; কিন্তু কৃষকের পক্ষে কেউ নেই। তাই এবার আমন ধান চাষীরা প্রথম থেকেই যেন ন্যায্য মূল্য পান এমন দাবি তাদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল-মুজাহিদ বলেন, কৃষক তার উৎপাদিত ফসল সঠিক দামে বিক্রি করে লাভবান হোক এটাই আমাদের কাম্য। তাছাড়া সরকারি বিধিমত আমরা সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ কামাল উদ্দিন সরকার বলেন, সরকার যখন কৃষকদের নিকট থেকে ধান কেনার নির্দেশনা দিবেন তখনই কেনার কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চাই; কিন্তু অনেক সময় কৃষকরা সরকারি বিধি মেনে গোডাউনে ধান বিক্রি করতে সমস্যা মনে করে ধান দিতে চান না।